ফলোআপ :: নতুন করে ঘরবাঁধার স্বপ্নই কাল হয় লালপুরের বিথি’র

প্রেমিক সাদ্দাম গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক / দুই বছর আগে স্বামীর সাথে ছাড়া ছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর ২ সন্তান নিয়ে বেসরকারী ক্লিনিকে ডাক্তারের সহকারী হিসেবে কাজ করছিলেন নাটোর জেলার লালপুরের মাহমুদা শারমিন বিথি (২৬)। কিন্তু আবারো ঘর বাঁধার স্বপ্ন নিয়ে কিছুদিন আগে পাশর্^বর্তি বড়াইগ্রাম উপজেলার জাহিদ হাসান সাদ্দাম (২৯) নামের এক যুবকের প্রেমে জড়ান তিনি। আর বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ার কারণেই ছুরি দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয় তাকে।


শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার লালপুর-বনপাড়া সড়কের মধুবাড়ি গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে বিথির গলাকাটা মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। রাতে অভিযান চালিয়ে বড়াইগ্রাম উপজেলার কামারদহ গ্রাম থেকে আটক করা হয় ঘাতক প্রেমিক জাহিদ হাসান সাদ্দামকে। সে ওই গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে। শনিবার তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
লালপুর থানার ওসি উজ্জল হোসেন জানান, ঘটনার দিন সন্ধার পর থেকে রাত ৮ টার মধ্যে মধুবাড়ি গ্রামের নির্জন ওই এলাকায় নিয়ে বিথিকে হত্যা করা হয়। সাদ্দামের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনা স্থালের একটি ঝোপের মধ্যে থেকে বিথিকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিহত মাহমুদা শারমিন বিথী উপজেলার এবি ইউনিয়নের বরমহাটি গ্রামের আমজাদ হোসেনের মেয়ে এবং গোপালপুর পৌর এলাকার স্থানীয় মুক্তার জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারের সহযোগী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি দুই সন্তানের জননী।
নিহতের বাবা আমজাদ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টাই তার কর্মস্থল গোপালপুরে মুক্তার জেনারেল হাসপাতালের যায়। বিকেলে তার ছুটি হলেও বাড়ি ফিরে আসেনি। তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায় নি। শক্রবার সকাল ১০ টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশ শনাক্ত করি।
এঘটনায় নিহতের বাবা আমজাদ হোসেন লালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার সাদ্দামকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বিথী। কিন্তু সাদ্দাম বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিলেন না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আসামি ভুক্তভোগীকে কৌশলে ডেকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে।