কুষ্টিয়ার ব্যাডেন পাওয়েল খ্যাত শিক্ষক শাহ্জাহান এর করোনায় মৃত্যু

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি/
করোনা আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়ার ব্যাডেন পাওয়েল খ্যাত শিক্ষক, মুহ. শাহ জাহান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯ টায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। তিনি কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনেরর সাংসদ সরওয়ার জাহান বাদশাহর পিতা।
মুহ. শাহ জাহান ছিলেন একাধারে আদর্শ শিক্ষক, ক্রিড়াবিদ, স্কাউট ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ উজ্জ্বল নক্ষত্র।

তিনি লাহোরে অনুষ্টিত স্কাউট জাম্বুরীতে ও দিল্লীতে অনুষ্টিত সর্বভারতীয় স্কাউট জাম্বুরীতে ইচ এর সাথে স্কাউট সদস্য হিসেবে অংশগ্রহনকারী ও কোলকাতা গড়ের মাঠে স্কাউট মাষ্টার প্রশিক্ষন প্রাপ্ত। কুষ্টিয়া জেলা স্কাউটস ফাউন্ডার মেম্বার ছিলেন। বাংলাদেশ স্কাউটস দৌলতপুর উপজেলা কুষ্টিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা কমিশনার, সাবেক সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাবেক প্রধান শিক্ষক ফিলিপনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কুষ্টিয়া-৭৫ দৌলতপুর-১আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব আ ক ম সরোয়ার জাহান বাদশা মহোদয়ের পিতা। কুষ্টিয়ার স্কাউট অঙ্গনের প্রিয় স্কাউট ব্যক্তিত্ব উড ব্যাজা’র ও বার টু দি মেডেল অব মেরিট অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত ব্যাক্তিত্ব।

তিনি শিক্ষক হিসাবে শুধু মানুষ গড়েননি, গড়েছেন মানবিক গুনাবলিতে সমৃদ্ধ পরিপূর্ণ মানুষ। তিনি গড়েছেন দেশপ্রেমের মহান আদর্শে সমুজ্জ্বল মানুষ। যেখানে মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতীয় মানস বিনির্মানে পথ দেখানো লালন সাইজি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ও আদর্শকে ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর হাতের স্পর্শে শত শত সফল ও পরিপূর্ণ মানুষ হয়েছে। ধর্মীয় বিধি-বিধান ও অনুশাসনের আলোকে জাতীয় মানস বির্নিমানে জাতি হিসাবে যে আকাঙ্খা তা তিনি পুরণে নিবেদিত থেকেছেন। এভাবে তিনি একটি সমৃদ্ধ জনপদ গড়তে অসামান্য অবদান রেখে গেলেন।

সর্বজন শ্রদ্ধেয় এই মহান কারিগর মানুষ গড়তে গিয়ে নিজের পরিবারকে কোনভাবেই অবহেলা করেননি। একটি জনপদকে আলোকিত করার কাজে ব্রত থাকার পাশাপাশি নিজের পরিবারকে আলোকিত করেছেন। নিজের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত আদর্শ মানুষ হিসাবে গড়ে তুলেছেন। তাঁর এক সন্তান রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য, এক সন্তান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল, এক সন্তান সরকারের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা থেকে ইউকে প্রবাসী। দুই মেয়েও উচ্চ শিক্ষিত-একজন গৃহিনী, অরপর জন ব্যাংক কর্মকর্তা।