আমার মা

লিটন মোস্তাফিজ/

ত্রিশ বছর আগে আমাকে একটা গল্প বলেছিলেন।গল্পটার ভেতরে-বাইরে ভালোবাসার ছড়াছড়ি ছিল। আমি তখন বয়সে অনেক ছোটো; অনেক কিছুই হয়ে ওঠিনি তখনও! চোখে মুখে ছিল স্বপ্নের আনাগোনা!
মা যখন যা বলতো তার সবকিছুই আমাকে নাড়া দিত নতুন করে বেড়ে উঠতে আর নতুন করে বিকশিত হতে আমাকে অনুপ্রেরণা যোগাতো। মা ছিল কৃষকের বউ! মাটির গন্ধ ছিল তার সারা শরীর জুড়ে। আমি যখন জন্মে ছিলাম আমার মা তখন ছিল তরুণী; ছিল তারা আলাদা রকম ধার। কোন কিছু পরোয়া করতো না। বাবা পরের খেতে লাঙল চালাতেন; সারাদিন এর জমি ওর জমি চাষ করত কিন্তু আমার বাবা কোনদিন পেট ভরে খেতে পারেনি আর আমার মা কোনদিন পেটে ভাত একটাও দিতে পারেনি। ভাত তো দূরে থাক হয়তো কোনদিন কোনকিছুই তার পেটে পড়তো না। মা ছিল খুব দরিদ্র ঘরের মেয়ে। দারুন হতাশাই ভেঙে পরতেন না। ছোটোবেলা থেকেই জেনেছিলেন না খেয়ে কিভাবে বেঁচে থাকা যায়। এজন্য ছোটোবেলায় কখনো মাকে যন্ত্রণায় ছটফট করতে দেখিনি অথচ আমি আর আমার বাবা একটু কম হলেই ক্ষুধায় সারারাত ছটফট করতাম আর মা সান্ত্বনা দিতেন সকাল হলেই না করে দিব। সকালে কী রান্না করবে মা জানতো না কিন্তু তার কথায় যন্ত্রণা দূর হয়ে যেত। মা আসলে অতুলনীয় ছিল।
মা খুব সংগ্রামী ছিল। ছিল খুব দরদীও। বাবা মাঠে যতটা কাজ করতেন; মা তার চে বেশি সংসারে এবং মাঠে তার সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করতেন। ধান কাটা হলে মাঝ মাঠের মধ্য হতে মা সে ধান নিয়ে বাড়ির উঠানে রাখতে। পাটের বোঝা নিয়ে মা বাড়ি পর্যন্ত চলে আসতেন। আমার ছোটোভাই জন্মগ্রহণ করার পর মা আরো বেশি সংসারী হয়ে উঠলেন। তরুণী থেকে যুবতী হয়ে উঠল মা আমার। তারপর নিরন্তর সংসারের ঘানি টেনে মা আমাদের মানুষ করতে লাগলেন। ছোটো অভিমান আর মিষ্টি কিছু অনুশাসন ছাড়া মার ভালোবাসায় আমরা প্রতিনিয়ত সিক্ত হতাম। আমার মা কালো রংয়ের ছিল কিন্তু মা হাসলে মনে হতো পৃথিবীর সবকিছু কত আলোময়; আলোকিত কত; প্রস্ফুটিত চারপাশ। আমার জীবনে যত অন্ধকার ছিল মা তার সবকিছুতেই আলো ফুটিয়েছেন। আমি ছোটোবেলায় সুন্দর করে কথা বলতে পারতাম না কিন্তু আমার মা তোতা পাখির মতো বুলি শিখিয়েছেন; বুকের ভিতর লুকিয়ে আমাকে শিখিয়েছেন মানুষের প্রতি ভালোবাসা। আমি আজও শিহরিত হই; জীবনের এই মধ্যগগনে দাঁড়িয়ে আমি আজও আমি আমার মা মাতৃস্নেহের স্পর্শ ও সুগন্ধে আলোড়িত হই। কিসের অভাব! সব অভাবকে দূরে ফেলে ছোটোবেলায় মা আমাকে সফলতার গল্প বলতেন। তখনো আমি এই শহর বুঝি না; তখনো আমি জীবনের কোন অর্থ বুঝি না। কিন্তু একজন অশিক্ষিত নারী কিভাবে প্রশিক্ষিত ভাষায় আমাকে উঠে দাঁড়ানোর গল্প শোনাতেন তা আমার মাথায় আজও খেলে না। একটা মফস্বল ও অজপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করে সাহেব বিবির বৈঠকখানার গল্প তিনি আমাকে শোনাতেন কীভাবে ঈশ্বর!
আমার মায়ের জন্ম বর্তমান গোপালগঞ্জে; বৃহত্তর ফরিদপুর জেলায়! উনিশ শ একাত্তর সালের যুদ্ধ শুরু হলে মা আর আমার নানা হেঁটে যশোরে গিয়েছিলেন; সে গল্প আমাকে শোনাতে যেয়ে তিনি অনেকবার ভয়ে শিউরে উঠতেন ! কেন শিহরে উঠতেন এখন তা বুঝি। এই একই গল্পে তিনি বারবার আমাকে চরিত্র হিসেবে দাঁড় করাতেন। বলতেন বাজান রে আমি যদি তোর মত ছেলে হতাম তাহলে যুদ্ধে যেতাম। আমার মা উনিশশো একাত্তর সালের যোদ্ধা না হলেও পরবর্তী ৫০ বছর তিনি দাপট আর বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে গেছেন;অভাবের সাথে লড়াই করেছেন; মৃত্যুর মধ্য দিয়েই তিনি মুক্তির মহানন্দ লাভ করেছেন!
আমি জন্মগ্রহণ করার আগে মা একবার যাত্রা দেখতে গিয়েছিলেন। সে যাত্রায় একজন ইংরেজ এর নাম ছিল লর্ড লিটন। সেখান থেকেই মূলত মা তার ছেলে সন্তানের নাম রেখেছিলেন লিটন। জন্মগ্রহণ করার পরেই মা সেই সাদা ইংরেজের মত লর্ড বানানোর চেষ্টা করতে লাগলেন। জন্মের পরেই আমার নানীকে মা বলেছিল হাত ও পায়ের আঙুল খুব করে টেনে দাও; ও যেনো অনেক লম্বা হতে পারে। বাড়ছি! উচ্চতায় আমি অনেক বড় কিন্তু মার পা জোড়াকে কোনদিন আমি ছাড়াতে পারলাম না! সারা জীবন তার পায়ের নিচেই আমার উচ্চতা থেকে গেল!
আমার জন্মের পরপরই মা আমার নানির কাছে ভাত চেয়েছিল। কিন্তু কোথায় ভাত পাবে? সেবার আমার বড় মামা তরমুজের চাষ করেছিল! আমার মা এগারো দিন সেই তরমুজ খেয়েছিলেন। এই গল্প মা কতবার বলেছে কতবার যে চোখের পানি ফেলেছে তার ইয়াত্তা আমি আজও খুঁজে পাইনি। ভালো কোন কিছু খেতে দিলে মার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়েছে আজীবন। আমি মাকে বলতাম এত কান্না কিসের! মা বলতো কই আমি তো কাঁদি না। আহারে মা আমার! এত কষ্ট নিয়ে মানুষ কিভাবে চলে যায়। স্রষ্টাই বা কেমন? সুখের আগেই কিছু মানুষকে কেন চিরতরের জীবন ধরে টান দেয়?
বাবা অনেক চিৎকার করতেন সাথে সাথে মা ও। গালিগালাজ ছিল নিত্যদিনের অভ্যাস। ভালোবাসায় কোনো প্রতারণা ছিল না তাদের মধ্যে। কিন্তু অভাব ছিল। সেই প্রচন্ড অভাবে কী নিদারুণ কষ্ট! বিরক্তিকর!ক্ষুধার যন্ত্রণা। মা প্রায়ই ক্ষুধায় কাতর হতেন। রাস্তার ধারের বুনো কচু লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিজে খেতেন। আব্বা বরাবরই ছিলেন সৌখিন মেজাজের। পরিপাটি ও ফিটফাট। আমার মায়ের শরীরে সারাজীবন কাঁদার গন্ধে মৌ মৌ করত। আমি সেই গন্ধে হৃদয়পল্লিতে হৈ চৈ ফেলে দিতাম। আমি আমার মায়ের মাটির গন্ধকে এখনো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পারফিউম মনে করি!
একদিনের ঘটনা। আমি আর আমার ছোটোভাই স্কুলে যাব। ভাত চাইলাম। মা বললো হাড়িতে আছে। আমাদের স্কুল তখন শুরু হতো দশটায়। মাঠের মেশিন থেকে গোসল করে এসে আমরা দু ভাই ভাত খেতে বসেছি। পান্তা ভাতের হাড়ি। হাঁড়ির মধ্যে হাত দিয়ে দেখি শুধু পানি আর পানি। একেবারে নিচের দিকেই কয়েকটি ভাত পড়ে আছে! মাকে আশপাশে খুঁজলাম কোথাও পেলাম না! আমি সেই পান্তা ভাতের পানি ঢেলে দিলাম আমার থালায়!। দেখাদেখি আমার ছোটো ভাই ও। লবণ মাখিয়ে ভাতে যখন চুমুক দিলাম তাকিয়ে দেখি কাঁঠাল গাছের গোড়ায় মা মুখে কাপড় গুঁজে কান্না করছে। সেই বোবা কান্নার অর্থ আমি কোনদিন বুঝতে পারিনি! কিন্তু স্কুলে যাওয়ার পূর্ব মুহূর্তে মা বলেছিলেন বাজান আজকে পানি খেয়ে স্কুলে যাচ্ছ লেখাপড়া করলে একদিন তুমি অনেক খাবার খেতে পারবে। পড়াশোনা করো আল্লাহ তোমাদের অনেক বড় করবে। বড় হয়েছি মাগো কিন্তু তোমার সেই চোখের পানি আর বোবা কান্নার অর্থ আমি আজও বুঝিনি। হয়তো কোনদিনও বুঝতে পারব না।
আমার আব্বার প্রচণ্ড জ্বর হলো। একদিন। দুইদিন। সাত দিন। বাবা কোন কাজ করতে পারেন না। কোথা থেকে দু মুঠো চাল এনে মা রান্না করলো। আমার মা শিং মাছ অসাধারণ রান্না করতেন। শিং মাছের ঝোল দিয়ে ভাত খেলে এতো সুস্বাদু আর কোনদিনও কোন খাবারে আমি খুঁজে পাইনি। আমি স্বর্গে গেলেও এমন সুগন্ধ আর পাব না। মা সেই চেয়ে আনা চাল আর শিং মাছের ঝোল রান্না করলো। আমি বর্শা দিয়ে মাঠে খুব মাছ ধরতাম। সে মাছ মা রান্না করলো। লোভ সংবরণ করতে পারছি না। ৫-৭ দিনের জ্বরে আব্বা কাহিল হয়ে পড়েছিলো। নিজেকে টেনে তোলার শক্তি তাঁর ছিল না। অসহ্য যন্ত্রণায় তিনি ছটফট করতেন কিন্তু সেদিনের রান্না খেয়ে বাবা সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন কিন্তু এই দিনেই আমার মা অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। এর কারণ ছিল সুস্পষ্ট। বাবা সেদিন পেটপুরে শিং মাছের ঝোল দিয়ে প্রায় পুরো ভাত খেয়েছিলেন। আমাদের জন্য তেমন ভাত ছিলো না। তবুও মা আমাদের দুই ভাইকে বললেন; বয়। আমরা ভাত খেতে বসলাম। আমার মা এক মুঠো করে ভাত দিলেন আমাদের পাতে। একটা শিং মাছের অর্ধেক থেকে আমাকে একাংশ দিলো ও আমার ছোট ভাইকে একাংশ দিল। পরক্ষণেই আমার ছোটোভাই ভাত চাইল সাথে সাথে আমিও ভাত চাইলাম। মা নিরুপায় হয়ে গেল। হাড়ির নিচেই যতগুলো ভাত ছিল মা সেগুলো আঙুলের মাথায় করে এমন ভঙ্গিতে দিলেন মনে হলো তিনি যেন এক মুঠো ভাত আমাদের পাত ভরে তুলে দিবেন! কিন্তু আসলেই তিন চার থেকে আট দশটি ভাত হবে হয়তো সর্বোচ্চ! সেদিন আমাকে ভাত দিতে পারলেন না; আর মায়ের কথা না হয় বললামই না…
মা এমনই ছিল! মায়েরা এমনই হয়! আমার মা গত ২৮ তারিখে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে মাটির গন্ধ ছড়াতে ছড়াতে চিরতরে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন! আমার মা আমার বন্ধু ছিল; ভালোবাসার নিরন্তর সঙ্গী ছিল! জীবনের প্রতিটি অংশকে টুকরো টুকরো করে আমি আমার মার সাথে শেয়ার করেছি! বহুপথ আমি আমার মার সাথে চলেছি! ছোটোবেলায় মা আমাকে আকাশ দেখিয়ে বলতেন উপর দিয়ে যে প্লেন যায় ওখানে বিজ্ঞানীরা প্লেনের জন্য রাস্তা বানিয়ে রেখেছে; একদিন তুমিও ঐরকম প্লেনে ওই রাস্তা দিয়ে যেতে পারবা! মা প্রথম বিমানে উঠেছিল চেন্নাই থেকে! আমি আর মা! চেন্নাই এয়ারপোর্ট থেকে কলকাতা আসব! আড়াই ঘন্টার পথ! আমার মার গলা তখন ফুলে অনেক বড় হয়েছে; মা তখন ক্যান্সারে আক্রান্ত। তবে বিমানবন্দরের যত কাজ সব আমি মাকে দিয়ে করালাম। তার ভিতরে একটা আলাদা রকম উত্তেজনা। আলাদা রকম চাওয়া। কি এক পরম মমতায় মা আমার কপালে একটা চুমু খেয়ে বসল। মায়েরা চুমু লোভী হয়। মা বিমানে উঠবে। মা বিমানে উঠে বসলো। অসুস্থ। জীবনগল্পের নাটকীয় আবহ। মার চোখে মুখে আলাদা রকম শিহরণ। বিমান যখন বেশ উপরে উঠলো মার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। মাকে গরম পানি পান করাচ্ছি। মা সুস্থ হলো কিছুটা। মাকে আমি জানালার পাশে বসিয়েছিলাম। মাকে বললাম; মা আমি যখন ওয়ানে পড়তাম তখন তুমি আমাকে বলেছিলে বিমান নাকি রাস্তার উপর দিয়ে যায়? আমার মা বলল; বাজান আমি তো তাই জানতাম! বাপ-দাদার কেউ কি কোনদিন বিমানে উঠেছে? আমার মা আমার দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলো তারপর বলল তুই যদি লেখাপড়া না করতিস তাহলে কি আর আমি বিমানে চড়তে পারতাম? মা যে চিরদিনের জন্য এভাবে উড়াল দিয়ে চলে যাবে তা আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। যেদিকে তাকাই সবখানেই মা আর মা!
আজ এক মাস হল মায়ের মৃত্যু! এই ৩০ দিনের প্রতিটা দিনই যেন হাজার রাতের চেয়েও বেশি ভারী। একমাস আগে ঠিক এমনই এক রাতেই আমি আমার মৃত মাকে নিয়ে ঢাকা থেকে যশোর অভিমুখী। সারাপথ জুড়ে মা যেন আমাকে এই ভাষায় শিখিয়ে গেল চিরতরে চলে যাওয়া মানে অন্যকে মুক্তি দিয়ে যাওয়া। মা আমাদের মুক্ত করে দিয়ে গেছেন।
মা ছাড়া এ পৃথিবী আসলে বিবর্ণ ধূসর ক্লান্তিময় আর মরুময়! পৃথিবীর এতো সব মায়ার মধ্যেও মায়ের ভালোবাসা এতটা অতুলনীয় তা এখন অনুভব করতে পারি! যেখানেই থাকো মা তোমার স্নেহ তোমার ভালোবাসা আমাকে যেন আগলে রাখে! কেউ তো আর আমাকে ডাকবে না মা। হয়তো আমিও কোনদিন তোমাকে আর ডাকতে পারব না! কিন্তু এখনো প্রতি রাতে এই মনে হয় তুমি এসে আমাকে ডাকো; আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দাও; আমার কপালে চুমু লেপ্টে দাও! প্রতিদিন সকালে তুমি এসে বলো উঠো : বাজান! আমি তো প্রতিদিন সকালে উঠি মা তুমি কেন ওঠো না? মা…
অজান্তে অনেক বকা দিয়েছি মা! না বুঝি অনেক শাসন করেছি! অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই তুমি ছোট্টো মেয়ের মতো হয়ে গিয়েছিলে! অবুঝের মতো আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকতে; তোমার গায়ে যতবার সুঁই ফোটানো হয়েছে কখনো আমি তেমন শিঁউরে উঠিনি কিন্তু আমার গায়ে একটু আচর লাগলেই তুমি কষ্ট পেয়েছো মা কত! আমাকে ক্ষমা করো…
২০১৬ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত মাকে ১১৬ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে। যারা রক্ত দিয়েছেন তাদের অনেককে আমি দেখিনি চিনিও না কিন্তু রক্তের বাঁধনে চিরদিন আমার হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। শুধু রক্তদাতা নয় অর্থ ও সাহস দিয়ে আমাকে সহযোগিতা করেছে অনেকেই তাদের প্রতি আমি অসীম কৃতজ্ঞ। কিছু বিষয় আছে কোনদিনও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা যায় না। আমার মাকে যাঁরা ভালোবেসেছেন তারা নিভৃতে আমার চির আপন হয়ে থাকলেন। এরইমধ্যে আমার মা যদি কাউকে কোন কষ্ট দিয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা করে দিবেন আর সকলেই আমার মার জন্য দোয়া করবেন। আপনাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা হৃদয় নিংড়ানো উদারতায় আমি কৃতজ্ঞ। আমার মার পুরো জীবন নিয়ে একটা লেখা শুরু করেছি; চোখের জলে ভেসে লেখা সে লেখনিতে একজন বাঙালি নারীকে মা হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি…