ঈশ্বরদী ইউনিয়নে ওয়ার্ড আ’লীগের একাংশের সম্মেলনে চেয়ার ভাংচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক/
রবিবার (৩১ জানুয়ারি) নাটোরের লালপুর উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একাংশের (এমপি সমর্থিত) ডাকা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে উত্তেজনা চলাকালে প্রায় অর্ধ শতাধিক চেয়ার ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
লালপুর উপজেলার নবীনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ঈশ্বরদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১,২,৩ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সন্মেলনে কমিটি ঘোষনাকে কেন্দ্র করে চেয়ার ভাংচুর ও নেতাদের মঞ্চে চেয়ার নিক্ষেপ করেছে সভাপতি প্রার্থী আজাবুল ইসলাম ডিলু’র সমর্থকরা।
সম্মেলনে ঈশ্বরদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১নং ওয়ার্ডের কমিটি ঘোষনার সময় লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হক মুকুল সভাপতি হিসেবে তরিকুল ইসলামের নাম ঘোষনা করলে সভাপতি পদপ্রার্থী আজাবুল ইসলাম ডিলুর সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে নেতাদের বিরুদ্ধে স্লোগানের পাশাপাশি মঞ্চে নেতাদের লক্ষ করে চেয়ার নিক্ষেপ ও প্রায় অর্ধ শতাধিক চেয়ার ভাংচুর করে।
এ সময় মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজবার হোসেন, এসকেন্দার মির্জা, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গোলাম কাওছার, আলাউদ্দিন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল বাশার ভাদু, সহ-দপ্তর সম্পাদক শফিউল আলম শফি,সদস্য ফিরোজ আল হক ভূঁইয়া প্রমুখ।
চেয়ার নিক্ষেপ ও ভাংচুর ব্যাপারে লালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গোলাম কাওছার বলেন, নাম ঘোষনায় বিলম্ব হওয়ায় ডিলু সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে সাময়িক উত্তেজিত হয়ে পড়ে। বিষয়টি তেমন গুরুতর নয়, ডিলুকে ১নং ওয়ার্ডের সম্পাদক করা হয়েছে।
ওই সম্মেলনে, ১ নং ওয়ার্ডে তরিকুলকে সভাপতি ও ডিলুকে সাধারণ সম্পাদক, ২ নং এ আতাউর রহমানকে সভাপতি ও আবু সাধীনকে সাধারণ সম্পাদক, ৩ নং আব্দুর রশিদকে সভাপতি ও লালন প্রাং কে সাধারণ সম্পাদক এবং ৮ নং এ সোহেল রানাকে সভাপতি ও মাহাবুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষনা করা হয়।

জানাগেছে নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল সমর্থকরা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক ও তাদের সমর্থক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক ও নেতা কর্মিদের না জানিয়ে পৃথক পৃথকভাবে লালপুর উপজেলার ইউনিয়ন সমুহের বিভিন্ন ওয়ার্ড সম্মেলন করে কমিটি গঠন করছেন। অপর দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকদের নিয়ে পৃথকভাবে কমিটি গঠন করছেন।
এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়, দলীয় গঠনতন্ত্র না মেনে দলের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য বিতর্কিত লোকজন নিয়ে কমিটি গঠন করে পরিকল্পিতভাবে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছেন এমপি সমর্থকরা। উদাহরণ হিসেবে তারা বলেন, দুই নম্বর ওয়ার্ডের যাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে সেই স্বাধীন বিএনপি’র সক্রীয় কর্মী অপর দিকে লালন আওয়ামী লীগ কর্মী কামাল হত্যা মামলার অন্যতম আসামী।