কষ্ট

বিজু চিশ্তী/

মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই বলেই কি কষ্ট। পরিবার সমাজ সচেতন হলেই সোনার বাংলা হবে মুক্ত। সত্য কখনও থাকেনা চাপা আল্লাহ্র আদালতে। মানুষের আদালতে বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে। আজ বড়ই দুঃসময়। হাজার কষ্টে ভরা মানুষের মন।
সব আশা কখনও হয় না পূরন। স্বার্থের পৃথিবীতে কেও করো নই এ কথা বার বার কেন মনে পড়ে যায়। বাবার কাঁধে সন্তানের লাশের কষ্ট। এতিম ছেলেটি অর্ধ অনাহারে ফুটপাতের ধারে হাটুটা কপাল ছুঁয়ে পরে থাকার কষ্ট। চিকিৎসার টাকা যোগাতে যে যুবক অর্থের লেনদেনে একটি জীবন বাঁচাতে অন্য একটি জীবন কেড়ে নেই, তখন জীবনের মনুষ্যত্ব বোধটাকে খুব ছোট্ট মনে হয়।
ওরা জানেনা যে, প্রেম প্রিতী ভালোবাসা আর ত্যাগের মধ্যে দিয়েই গড়ে উঠে মানুষের মনুষ্যত্বের হৃদয়ের স্মৃতি স্তম্ভ। মুক্তিযোদ্ধার শহীদ মিনার। মানুষের ন্যায্য দাবী আদায়ের মঞ্চ। কষ্ট আছে বলেই তুমি আল্লাহ্কে ডাকো। কষ্ট আছে বলেইতো ওরা মসজিদে যায়। কষ্ট আছে বলেই কষ্টকে লালন করে মুক্তি পাবার আশায়।
হাজার কষ্টের, কিছু কষ্ট। বেকার যুবকের কষ্ট। দুঃখির দুঃখ মোচনে সহযোগীতা না পাবার কষ্ট। সর্বত্যাগী মানুষটির কৃতজ্ঞতা না পাবার কষ্ট। বন্ধা নারীর মা নাম ডাকটি না শুনার কষ্ট। সৎ সত্য কথা বলার অধিকার কেড়ে নেবার কষ্ট। বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসা মায়ের কষ্ট। ঘর সংসারে স্বামী স্ত্রীর মতের অমিলের কষ্ট। সন্তান প্রসব ব্যাথা মায়ের কষ্ট। শত দোষে দোষি স্যবস্ত হলেও রক্তকে অস্বীকরা করা যায় না বলেই ছেলে অথবা মেয়ের পাপ ঢাকতে অন্যের উপরে দোষ চাপিয়ে দেবার কষ্ট।
আমি জানিনা, এটা কি জ্ঞানের বিভ্রম ? বুঝেও না বুঝার অপচেষ্টা ? নাকি দেখেও না দেখার ভান। জ্ঞানের বিচারে কেও হয় শয়তান আবার কেও বা মহামানব। মানুষের কিছু কষ্ট আছে যা বলে বুঝানো যায় না, ঝাল, টক, মিষ্টি, স্বাদে পাওয়া যায়, চোখে দেখা যায় না।
প্রতিটি মানুষের সৎ লক্ষ্য একটাই হওয়া উচিত, তবেই কষ্টে গড়া, রাজার রাজ মুকুটটা তোমার কপাল স্পর্শ করবে। “যার জীবনে কষ্ট নাই সে কখনও মানুষ হতে পারেনা” ভাঙ্গা তরী ছেঁড়া পাল চলবে আর কতকাল ? ২০২১ সালের শুভ আগমণী বার্তায় তোমায় জাগিতে হবে। নামাজ শেষে দুই হাত তুলে চোখের জলে প্রভুকে জাগাও, সকল অপশক্তি দূরীভূত হোক। সবার মাঝে শান্তি আসুক ফিরে।