ছবি তুলতে গিয়ে পর্যটকের শরীরের চাপে ভেঙে গেল নারী মূর্তির অঙ্গ

অনেকেই এখন ঘুরতে গিয়ে মনোরম কোনও দৃশ্য চাক্ষুষ উপভোগ করার থেকে তা ক্যামেরাবন্দি করতেই বেশি ব্যস্ত থাকেন। ফলে বাড়িতে এসে সেই ছবি দেখে সুখানুভূতি হলেও সামনাসামনি সেই দৃশ্য বা বস্তু দেখার আনন্দ অধরাই থেকে যায়। অনেকে আবার ছবি তোলার হুড়োহুড়িতে নিজের বা অন্যের ক্ষতিও করে ফেলেন কখনও কখনও। এমনই এক ঘটনা সামনে এল, যেখানে ২০০ বছর আগে ইটালির নব্য ক্লাসিক্যাল ঘরানার ভাস্কর আন্তোনিও ক্যানোভা-র তৈরি এক মূর্তির গায়ে হেলান দিয়ে ছবি তুলতে গিয়ে তার একাংশ ভেঙে দিলেন এক পর্যটক।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এই ঘটনা টুইট করেছে। ইটালির গিপসোথেকা আন্তোনিও ক্যানোভা মিউজিয়ামের ঘটনা এটি। ইটালির ক্যারাবিনিয়েরা মিলিটারি পুলিশ নজরদারি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ করেছে। সেই ভিডিয়োই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে অর্ধশায়িত নারীমূর্তির গায়ে এক রকম হেলান দিয়েই ছবি তুলছেন এক ব্যক্তি। ছবি তুলে দিচ্ছেন এক মহিলা। সেখানে কোনও নিরাপত্তা কর্মীকে দেখা যাচ্ছে না। কেউ তাঁদের এমন কাজ করতে বাধাও দিচ্ছেন না। ফলে তাঁরা নিজেদের মতো করে ঘুরে ঘুরে ছবি তুলছেন।
ভিডিয়োটি ভাল করে লক্ষ করলে দেখা যাবে, ওই পর্যটক বুঝতে পেরেছিলেন তাঁর শরীরের চাপে মূর্তিটির একটি আঙুল ভেঙে গিয়েছে, তিনি ঘুরে সেটি দেখেনও। কিন্তু নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেন এবং সেই ভাবেই তিনি মিউজিয়াম থেকে বেরিয়ে যান।
রয়টার্স এমন একটি ভিডিয়োর সঙ্গে দু’টি ছবিও প্রকাশ করেছে। সেখানে ক্লোজাআপে দেখা যাচ্ছে নারীমূর্তিটির একটি পায়ের বুড়ো আঙুল ভেঙে গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূর্তিটির পায়ের তিনটি আঙুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই পর্যটকের শরীরের চাপে। শুক্রবারের ঘটনা এটি।
পুলিশ জানিয়েছে ওই ব্যক্তি অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা আট জনের একটি দলের সদস্য। এবং যে মহিলা এই ট্যুর আয়োজন করেছিলেন, ওই ব্যক্তি তাঁর স্বামী। পরে নিজের কৃতকর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন ওই ব্যক্তি। তাঁর নাম, পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। ইতালির এক আদালত এখন ঠিক করবে, ওই ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কিনা।(সংবাদ সংস্থা’র)