বড়াইগ্রামে অসহায় বিধবার প্রতি সহায়তার হাত বাড়ালেন ইউএনও ও মেয়র

নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া পৌরসভার কালিকাপুর আদিবাসী পাড়ার সেই অসহায় বিধবার প্রতি সহায়তার হাত বাড়ালেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও বনপাড়া পৌর মেয়র। আম্পান ঝড়ে তছনছ হয়ে যাওয়া ঘরটিই বিধবা লক্ষী রানীর একমাত্র আশ্রয়স্থল। ‘তীব্র শীতে ভাঙ্গা ঘরে বিধবার জড়োসড়ো জীবন’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর শনিবার রাত ৮টার দিকে ইউএনও জাহাঙ্গীর আলম ও পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন সরেজমিনে ওই বিধবার বাড়িতে এসে বিভিন্ন ধরণের খাদ্য সহায়তা, শীতবস্ত্র প্রদান করেন। এ সময় ইউএনও ও মেয়র অতিদ্রুত বিধবার ঘরের জন্য টিন ও প্রয়োজনীয় উপকরণ দেয়া হবে বলে আশ^াস প্রদান করেন। মেয়র কেএম জাকির হোসেন বিধবার জন্য ‘বিধবা ভাতা কার্ড‘ এর ব্যবস্থা করাসহ তার ৮ বছর বয়সী সন্তান অনিমেষ সরকারকে বিদ্যালয়ে ভর্তিসহ লেখাপড়ার সহযোগিতা করবেন বলে জানান।
গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রবল ঝাপটায় লক্ষী রানীর একমাত্র বসত ঘরটি লন্ডভন্ড হয়। পরে কোনরকম ভাবে বাঁশ লাগিয়ে ঘরটি দাঁড় করানো চেষ্টা করলেও ধীরে ধীরে ঘরটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে। আম্পান ঝড়ের মাস খানেক আগে দীর্ঘদিনের শ^াসকষ্ট জনিত অসুস্থতায় মৃত্যু হয় তার স্বামী অনিল সরকারের। একমাত্র ছেলে অনিমেষ সরকারকে নিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ও বিভিন্ন বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করে দিন চালাতে থাকে লক্ষী রানী।
সহায়তা প্রদানকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি অমর ডি কস্তা, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মৃধা, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সুরুজ আলী, আদিবাসী নেতা সুনীল বাগচী প্রমূখ।