‘টাকা পেয়েছি মর্মে জোরপূর্বক কাগজে স্বাক্ষর করে নিয়েছে’ / আড়বাব ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিএফের অর্থ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

‘চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বাড়িতে লোকজন নিয়ে এসে টাকা পেয়েছি মর্মে জোরপূর্বক কাগজে স্বাক্ষর করে নিয়েছে এবং এসব কথা কাউকে না বলতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে গেছে চেয়ারম্যান।’

নিজস্ব প্রতিবেদক/
নাটোরের লালপুরে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বরাদ্দকৃত ভিজিএফের নগদ অর্থ বিতরণে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি তালিকায় নাম থেকেও নগদ অর্থ না পাওয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভুগীরা। উপজেলার আড়বাব ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে পাঁচশ জন গরিব দুস্থ ও অসহায়ের মাঝে পাঁচশ টাকা করে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় । উক্ত পাঁচশ জনের নামের তালিকা থেকে ৫১ জনের টাকা না দিয়েই আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা। এছাড়াও একই সময়ে আরও ১ হাজার ৫৪১ জনের নামে ৪৫০ টাকা করে প্রদানের বরাদ্দ হয়। সেখান থেকেও ৭৭ জনের বরাদ্দের অর্থ প্রদান না করেই আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান। তাদের প্রাপ্য টাকা না দিয়ে আত্মসাৎ করার বিষয়ে ঢাকা মহাখালি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপ-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন এসব ভুক্তভোগী।
নাটোরের জেলা প্রশাসক ও লালপুর থানা নির্বাহী অফিসারকেও তারা অভিযোগের অনুলিপি প্রদান করেছেন। এ বিষয়ে আড়বাব ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আলী বলেন, তালিকায় নাম থাকলেও তিনি কোনো টাকা পাননি। আড়বাব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বাড়িতে লোকজন নিয়ে এসে টাকা পেয়েছি মর্মে জোরপূর্বক কাগজে স্বাক্ষর করে নিয়েছে এবং এসব কথা কাউকে না বলতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে গেছে চেয়ারম্যান।

আড়বাব ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি মহল তার মানক্ষুন্ন করতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ ধরনের অভিযোগ করেছেন। কোনো অনিয়ম করা হয়নি। লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) শাম্মী আক্তার অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন, ভুক্তভূগীরা যেহেতু দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপ-পরিচালক বরাবর অভিযোগ দিয়েছে তাই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশানুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।