দুর্ঘটনার ঝুকিতে গালিমপুর ব্রিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক/
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার গালিমপুর বড়াল নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজটি বার বার ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। ব্রিজটিতে ভারী যানবহন চলাচল করায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। এদিকে গত মাসে একটি ও আগের তিনমাসে প্রায় ব্রীজটিতে তিনটি পাটাতন প্লেট ভেঙ্গে পড়ায় আরো বেশি ঝুঁকিপুর্ন হয়ে পড়েছিল। পরে কর্তৃপক্ষ ব্রিজটি সংস্কার করে।
¯’ানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গালিমপুর বড়াল নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজটি ১৯৯৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ২০০৫ সালের মে মাসে কাল বৈশাখী ঝড়ে ব্রিজটি উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে হেলে পড়ায় এক সপ্তাহ ধরে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ থাকে। পরে কর্তৃপক্ষ ব্রিজটি সংস্কার করে এবং সেই বছরই সড়ক ও জনপথ বিভাগ ব্রিজটিতে ২০ টনের অধিক ভারবহনকারী যানবাহন চলাচল নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ব্রিজের পূর্ব পাশে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়।
এদিকে ২০১৩ সালের দিকে ব্রিজের পূর্ব অংশে বৃষ্টির পানি জমে মরিচা ধরে ও ফুঁটো হয়ে পাটাতন প্লেট নষ্ট হয়ে যায়। এতে ব্রিজটি আবারো যান চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় কর্তৃপক্ষ নষ্ট প্লেটগুলোর কয়েকটি পরিবর্তন ও কয়েকটি ঝালাই করে সংস্কার করে। একই বছর ব্রিজটিতে ১০ টন এবং পরের বছরে ৫ টনের অধিক ভারবহনকারী যানবহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আবারো সাইনবোর্ড টাঙানো হয়।
এখন সাইনবোর্ড গুলো যেমন চোখে পড়ে না, তেমনই নিয়ম মানছে না যানবাহনের চালকরা। বর্তমানে ব্রিজের পাটাতনের অনেক প্লেট মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। অধিকাংশ প্লেট গুলো বেঁকে গেছে । অনেক প্লেট নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। গাড়ি উঠলেই বিকট ঢংঢং শব্দ হয়। তার ওপর অধিক মালামাল বহনকারী ট্রাক, বালিভর্তি ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন যানবাহন প্রতিদিন চলাচল করছে।
এদিকে আবারো দু-একটি পাটাতন প্লেটের মাঝে গর্ত হওয়ায় যান চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। এছাড়া দ্রুত প্লেট গুলির সংস্কার কাজ সম্পূর্ণ না করলে পূর্বের ন্যায় প্লেট কটি চুরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্ষতিগ্র¯’ ব্রিজটি সংস্কার করে নিরাপদে যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন ¯’ানীয়রা।
নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) আবদুর রহিম বলেন, দ্রুত প্লেট গুলি সংস্কারের ব্যব¯’া করা হ”েছ।