লালপুরে মোবাইল ফোনে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের ২ সদস্য আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক/
নাটোরের লালপুর থেকে আরিফ (১৯) ও চঞ্চল (১৮) নামে ইমু প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে তাদের উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের নওপাড়া বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃত আরিফ সুলতানপুর গ্রামের আসাদের ছেলে এবং চঞ্চল একই এলাকার ফিরোজ আলীর ছেলে। পুলিশ জানায় আটককৃতরা দীর্ঘদিন থেকে এ্যানন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে ইমু প্রতারণার মাধ্যমে প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া গ্রামে গড়ে ওঠে ইমু প্রতারক চক্র। তারা মোবাইল ফোনের ইমু অফমান ব্যবহার করে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছে থেেক প্রতারনা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। দীর্ঘদিন ধরে এই অপরাধ চলতে থাকলেও তেমন কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় দিনদিন বেড়েই চলেছে এই প্রতারক চক্রের দৌরাত্ব্য। এই প্রতারক চক্রকে প্রতিহত করতে এবার নাটোর জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সহার নির্দেশনায় লালপুর থানা পুলিশ অভিযানে নামে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার ভোর রাতে এস আই কৃষ্ণ মোহন সরকারের নেতৃত্বে লালপুর থানার পুলিশের একদল সদস্য উপজেলার নওপাড়া বাজারে অভিযান চালিয়ে ইমু প্রতারক চক্রের দুই সদস্য আরিফ ও চঞ্চলকে আটক করে।

এসআই কৃষ্ণ মোহন সরকার জানান, লালপুরের বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন বর্তমানে ইমু প্রতারক চক্র খ্যাত এলাকা হিসেবে পরিচিত হয়েছে। এই চক্রটি এ্যানন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে ইমু ব্যবহার করে তাতে পর্নো ছবি ও ভিডিও সংরক্ষণ করে এবং তা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের প্রতারণা করে আসছে। এই ইমু চক্রটি প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছ থেকে ইমু প্রতারনার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা টাকা হাতিয়ে নেয়।

এবিষয়ে নাটোর জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সহার নির্দেশনায় ও লালপুর থানা ওসি সেলিম রেজার সার্বিক সহযোগিতায় শনিবার ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের দুই সক্রিয় সদস্য কে আটক করা হয়। এসময় তাদের ব্যবহৃত মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।

লালপুর থানার ওসি সেলিম রেজা দুই ইমু প্রতারককে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে বিকেলে নাটোর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।