গোপালপুর পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে বিজু চিশতী’র খোলা চিঠি

রাজার রাজনীতি রাজাকেই মানায়। জ্ঞানহীন জ্ঞানপাপী দুর্নীতিবাজকে রাজনীতি মানায় না। রাজনীতি করতে হলে মানুষের মনটাকে আগে বুঝতে হবে । পদ দখলে নিতে অতিথি পাখি হয়ে মিষ্টি কথা বলা, খোজ খবর নেওয়া বা সালাম দিয়ে ধর্মের পরিচয়ে পদ দখলে নিতে যাবেন না। ঘুঘু শিকারী সেজে ভালো মানুষগুলোকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করবেন না। আমরা ভোটাররা আপনাকে করুণা বা দয়া করে সম্মানের উচ্চশিখরে অধিষ্টিত করবো। আপনার লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিবো বা দিয়েছি এলাকাবাসীর কল্যাণের জন্য, মানুষের দুঃখ মোচনের জন্য, পৌরকে রোল মডেলে রূপ দেবার জন্য। কিন্তু আপনি আমাদের দেখা স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারলেন না। আমাদের দাবী দাওয়া উপেক্ষা করে এভাবে চলবে আর কতকাল। আপনার জানা উচিৎ একজন মানুষের সবচেয়ে বড় অহংকার তার চরিত্র বা আদর্শের। আপনি জনগনের খাবেন, জনগনের দেওয়া চেয়ারে বসবেন, দশের সালাম নিবেন অথচ পদ দখলে নিয়ে সব ভুলে যাবেন, আবার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করবেন। এটা মানুষের কাম্য হতে পারে না।
আল্লাহ কিছু মানুষকে পরিবার, সমাজ, দেশ ও জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য বড় পদ দিয়ে পরীক্ষা করেন। পদের অহংকার নয়, কর্মই হোক আপনার চরিত্র বা আদর্শের স্মৃতিস্তম্ভ যাতে মানুষ আপনাকে চিরদিন স্মরণে রাখবে। অর্থ দিয়ে সম্মান কেনা যায় না। আদর্শ দেশপ্রেম ও মুল্য বোধের মাঝেই মানুষ বেঁচে থাকে। পদে আছেন তাই সকলে সম্মান করে। পদ ফুরিয়ে গেলে ঐ মানুষটির মুখে জনগণ থুথু মারে এটা পদের অহংকার হতে পারে না। এটাও মনে রাখবেন অর্থ নিয়ে কেউ কবরে যাবে না। মানুষ কবরে যাবে তার আদর্শ ও কর্মকে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে দিয়ে। আমি আবারও বলছি পদের অহংকার আপনার নয় “জনগণের”। পৌরসভার জন্য ভালো একজন অভিভাবক বড্ড প্রয়োজন। কারণ তার কল্যাণমুখি কর্মকান্ডই হবে আমাদের অহংকার। তিনি এ অহংকারকে অর্থের লোভে পদদলীত করবেন না।
পৌর নির্বাচন আসন্ন। পৌর এলাকার মানুষ আপনাকেই খুঁজছে। যদি আপনার মনের ভিতরে সুন্দর একটা মানুষ বাস করে। আপনিই পারেন মানুষের পাশে দাঁড়াতে, জনগণের আশা আকাঙ্খা পূরণ করতে। আমরা সে আশাতেই দিন গুনতে থাকলাম।
আমার দৃষ্টিতে পৌরবাসীর কিছু চাওয়া-
আজিমনগর রেলওয়ে ষ্টেশনে ঢাকাগামী দুইটি ট্রেন থামাতেই হবে। বাজারের দোকান ও বসত বাড়ির কর কমিয়ে দিতে হবে। পৌর পাঠাগার চাই। বাজারের নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেকটি গলিতে গেটের ব্যবস্থা করতে হবে। বর্ষাকালে বাজারের পানি নিষ্কাষণের জন্য ড্রেন চাই। বহুমুখী মানুষের পদচারণা এই বাজারে। বাজারের মধ্যে টয়লেট জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে সেবাই এগিয়ে আসুন। আবাসিক এলাকাতেও থাকতে হবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা। পৌর মহল্লা এবং বাজারের অলিতেগলিতে আলোর সুব্যবস্থা করতে হবে। পরিবেশ দূষণমুক্ত করতে আবর্জনা ফেলার গাড়ি চাই। পৌর এলাকার রাস্তার উভয় পাশে পরিবেশ দূষণ মুক্ত করতে বৃক্ষ রোপণ দেখতে চাই।