ঈদের দিন ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০

ফেসবুকে স্ট্যাটাস, চ্যাটিং ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহি ইউনিয়নে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চেয়ারম্যানের ছেলেসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। ঈদের দিন শনিবার রাত ৮টার দিকে চরএলাহি বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হচ্ছেন চরএলাহি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের ছেলে রাজিব হোসেন (২২), চরএলাহী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রোহান মাহমুদ ফয়সাল (২১), চরএলাহি ১নং ওয়ার্ডের সুরুজ মিয়ার ছেলে নোয়াখালী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য তানিম ইকবাল (২০), ৩নং ওয়ার্ডের আবদুল আজিজের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা নিশাত (২৩), নূর আলমের ছেলে জসিম উদ্দিন (২৯), আবদুর রহিমের ছেলে রুবেল হোসেন (২৫), ১নং ওয়ার্ডের সুজা মিয়ার ছেলে রনি (২০), চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন মেম্বারের ছেলে মিরাজ হোসেন (৩৫), হেলাল (২৮), সাইফুল ইসলাম তারেক (২৩), মো. ইব্রাহিমসহ ২০ জন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চরএলাহি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রোহান মাহমুদ ফয়সালের সঙ্গে তানিম ইকবালের ফেসবুক স্ট্যাটাস ও মেসেঞ্জারে চ্যাটিংকে কেন্দ্র করে বিরোধ ছিল। ঈদের দিন রাতে চরএলাহি বাজারে আসে তানিম। এ সময় ওই বিরোধের জের ধরে রোহান মাহমুদ ফয়সাল, ইব্রাহিম ও হেলালের নেতৃত্বে কয়েকজন তানিমের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে পিটিয়ে জখম করে। পরে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে তানিমের পক্ষের ও রোহান মাহমুদ ফয়সালের সমর্থকরা একত্রিত হয়ে বাজারে দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হন।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রোহান মাহমুদ ফয়সাল, আমি সকালে বসুরহাট বাজারে গেলে তানিম ইকবাল আমাকে মোবাইলে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। রাতে চরএলাহি বাজারে গেলে তারা আমি এবং আমার লোকজনের ওপর হামলা করে বেশ কয়েকজনকে আহত করেছে।

চরএলাহি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে তানিমের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় ফয়সাল, মিরাজ, ইব্রাহিম ও হেলালসহ তাদের লোকজন। তানিমকে বাঁচাতে গেলে হামলাকারীরা আমার ছেলে রাজিবসহ আরও কয়েকজনকে পিটিয়ে জখম করেছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রবিউল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।