গোপালপুরে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না ওএমএস এর আটা

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুরে  ওএমএস আটার জন্য সকাল ৭ টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও খালি হাতে ফিরছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের অন্তত: দুই’শ নারী-পুরুষ। প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্ঠি হচ্ছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শুধুমাত্র গোপালপুর পৌর এলাকায় ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন দুই জন ডিলার ৫শ কেজি করে মোট এক টন আটা বিক্রি করছেন। প্রতি কেজি আটা ২৪ টাকা দরে ৫ কেজি করে মোট ২শ জন নারী – পুরুষ সেই আটা ক্রয় করতে পারছেন।
গোপালপুর বাজারের ওএমএস এর দোকানের সামনে সকাল ৭ টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, মহিষ বাথান গ্রামের আমিরন খাতুন, বিজয়পুর গ্রামের সুকেদা বেওয়া, শিবপুর গ্রামের সালমা খাতুন, ইউসুফ আলী, বৈদ্যনাথপুর গ্রামের আফতার হোসেন সহ প্রায় ৫০ জন। সকাল ১০ টায় সে সংখ্যা দাঁড়ায় ২শ জনের ওপরে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভীড় আরো বাড়তে থাকে। অথচ খোলা বাজারের ওই দোকান থেকে ৫ কেজি করে আটা ক্রয় করতে পারেন মাত্র ১শ জন। বাকিদের ফিরে যেতে হয় খালি হাতে। এভাবে ৫ কেজি আটা কিনতে একেক জনকে ৪/৫ দিন করে ওএমএস এর দোকানে ঘুরতে হয়। গোপালপুর বাজার ও গোপালপুর রেলগেট এলাকায় দু’জন ডিলার আটা বিক্রি করেন। দু’টি দোকানের একই অবস্থা বলে জানাগেছে।
সুকেদা বেওয়া জানালেন, ৩/৪ দিন ঘুরে আজ ৫ কেজি আটা পেলেন তিনি। অনেকে ৬/৭ দিন ঘুরেও আটা কিনতে পারেননি বলে জানান।
উপজেলা উপ-খাদ্য পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম জানান, সপ্তাহে ৫ দিন গোপালপুর পৌর এলাকার দু’টি জায়গায় খোলা বাজারে আটা বিক্রি হয়। আটা কিনতে আসা চার ভাগের এক ভাগ নারী-পুরুষও আটা কিনতে পারেন না।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আফরোজা পারভীন বলেন, ‘গোপালপুর পৌর এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষের প্রয়োজনের অর্ধেক আটাও বরাদ্দ নেই। আটা কিনতে আসা বেশির ভাগ মানুষ হতাশ হয়ে ফিরছেন। আটা বিক্রির বরাদ্দ বাড়ানো দরকার।’