নিজস্ব প্রতিবেদক
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় বাস ও অটোরিকশার সংঘর্ষের দুর্ঘটনায় আহত মনোয়ারা খাতুন (৫০) সহ নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালে ৪ জনে। গত সোমবার ঘটনাস্থলেই মুত্যুবরণ করেছিলেন ৩ জন। মনোয়ারা খাতুন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার রাত ১১টার দিকে মৃত্যুবরণ করেছেন এবং ওই দুর্ঘটনায় আহত তার ছেলে মোঃ রানা (৩০) একই হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় ও পুলিশী সুত্রে জানা যায়, মনোয়ারা খাতুন উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের একই দুর্ঘটনায় নিহত আনসার আলীর (৬০) স্ত্রী। আনসার আলী উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরে অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুর্ঘটনাস্থলেই নিহত আনসার আলীকে সোমবার রাত ৯টার দিকে ও তার স্ত্রী মনোয়ারা খাতুনকে মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে পাশাপাশি কালিকাপুর সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। উল্লেখ্য নাটোর-পাবনা মহাসড়কে বড়াইগ্রাম উপজেলার গুনাইহাটি মোড় এলাকায় সোমবার দুপুর ৩ টার দিকে বাস ও অটোরিকশার সংঘর্ষের কবলে পতিত হয়েছিলেন দম্পতিটি। তারা উভয়ই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।
আনসার আলী নিজ বাড়ি থেকে তার পরিবার ও ২ ছেলে সহ অটোরিকশা যোগে মানিকপুর বিয়ের বাড়িতে যাওয়ার সময় উপজেলার গুনাইহাটি মোড় এলাকায় পৌছালে দুর্ঘটনায় পতিত হন। এছাড়া এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছিলেন লালপুর উপজেলার ধলা গ্রামের মৃত ইয়াদ আলী সরকারের ছেলে অটোরিকশার চালক মুনসুর আলী (৬২) ও মোঃ নওফেল উদ্দিনের ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্র নয়ন হোসেন (১৯)।
মো. আলমগীর কবিরাজ
বড়াইগ্রাম,প্রতিনিধি