বড়াইগ্রামে ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে দৃর্বৃত্তরা

নিজেস্ব প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রী মরিয়ম খাতুনকে (৭৫) নির্মমভাবে হাতুড়ে পিটায় হত্যা করেছে দৃর্বৃত্তরা। রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার বনপাড়া পৌরশহরের সরদারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মরিয়ম খাতুন উক্ত গ্রামের মৃত শফিউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর নিহত মরিয়ম খাতুন নিজ গ্রামের মৃত ইউনুস কাজির পুত্র আবু শামা কাজী (৬৫) ও পার্শবর্তী পাঠানপাড়া গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী সুফিয়া খাতুনকে (২৭) কেয়ারটেকার হিসেবে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করতেন। তার একমাত্র পুত্র জাকির হোসেন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পৌরশহরের নিজস্ব পৃথক বাসায় থাকেন। ঘটনার সময় উল্লেখিত দুই জন কেয়ারটেকার কেহই বাড়িতে ছিলন না। তাদের মধ্যে আবু শামা কাজী রাত আটটার দিকে মসজিদে যায় এবং ফিরে এসে পাশের নিহত মরিয়ম খাতুনের কক্ষে গোঙ্গানোর শব্দ শুনতে পান। কক্ষটিতে গিয়ে তিনি মরিয়ম খাতুনের রক্তাক্ত দেহ মেঝেতে আংশিক খাটের নিচে মৃতপ্রায় অবস্থায় দেখেন। তার ডাক-চিৎকারে স্বজেনেরা এগিয়ে এসে মরিয়ম খাতুনকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন। এরমধ্যেই তিনি শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেন। তার মাথা ও মুখমন্ডলে গুরুতর আঘাত ছিল। সেখান থেকে রক্ত ঝরতেছিল। অনুমান হাতুড়ে পিটা করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। সে সময় তার পরিহিত স্বর্ণালঙ্কার গলার চেইন, হাতের রুলিবালা, আঙ্গুলের আংটি তিনটি, কানের দুল কিছুই শরীরে ছিল না। যাহা তিনি স্বামীর মৃত্যুর পরও নিয়মিত পরিধান করতেন। এছাড়া তার কোমরে থাকা চাবির থোকার খোঁজ মেলেনি। তবে তার আলমিরা, বাক্স ও ড্রয়ারগুলো তালাবদ্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গোলাম সারওয়ার হোসেন জানান, নিহত মরিয়ম খাতুনের লাশ উদ্ধারের পর সোমবার ময়না তদন্তের জন্য নাটোর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। বাড়ির কেয়ারটেকার আবু শামা কাজী ও সুফিয়া খাতুনকে প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে ও মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বড়াইগ্রাম, প্রতিনিধি
মো. আলমগীর কবিরাজ