বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট

পদ্মাপ্রবাহ ডেস্ক /
তুমুল লড়াই আর অনেক তিক্ততার পর ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্য পেনসিলভেইনিয়ায় জয়ের মধ্য দিয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ২৭০ ইলেক্টরালের লক্ষ্যমাত্রা পার হয়ে ২৮৪টি ইলেক্টরাল কলেজ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যেট পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল নির্বাচন কমিশনার এলেন ওয়াইনট্রাব বলেছেন, এ বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জালায়িতর কোনো প্রমাণ মেলেনি। শনিবার সিএনএনকে তিনি বলেছেন, রাজ্যের ও স্থানীয় কর্মকর্তারা, সারা দেশের নির্বাচন কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। নির্বাচন যেভাবে হয়েছে তা নিয়ে খুব সামান্য কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি। আমি বলতে চাই, ভোট জালিয়াতির কোনো ধরনের প্রমাণ কোথাও পাওয়া যায়নি। অবৈধভাবে ভোট দেওয়ার কোনো প্রমাণ নেই।

এ বিষয়ে আমার কথা বিশ্বাস করতে হবে, এমন নয়। কারণ সারা দেশের মানুষ দেখেছে, নির্দলীয় পর্যবেক্ষকরা দেখেছেন, কীভাবে এ নির্বাচন হয়েছে। জালিয়াতির কোনো অভিযোগ কোথাও পাওয়া যায়নি। যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, সেখানেও কোনো প্রমাণ দেওয়া হয়নি।

সবার চোখ ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান পার্টির দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর দিকে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়া লিবার্টারিয়ান পার্টির একজন নারী প্রার্থীও বেশ কয়েকটি রাজ্যে তাক লাগানো ভোট পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত হওয়া গণনায় জো জোর্গেনসেনের বাক্সে ১৬ লাখের সামান্য বেশি ভোট পড়েছে বলে তার প্রচার শিবিরের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সিএনবিসি।

ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন ও রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্পের পর এটাই এবারের নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পাওয়া সবচেয়ে বেশি ভোট। প্রধান দুই প্রার্থীর একেকজনের ভোট ৭ কোটির বেশি। ভোটের হিসাবে জোর্গেনসেনের পরে আছে গ্রিন পার্টির হাউই হকিন্স; তার প্রাপ্ত ভোট ৩ লাখ ৩৯ হাজারের চেয়ে একটু বেশি।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কেবল এই ক’জনই ছিলেন না। দেশটির নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করা ব্যক্তির সংখ্যা ১২ শর বেশি।

দুই সন্তানের মা, ক্লেমসন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড অর্গানাইজেশনাল সাইকোলজিতে পিএইচডি ডিগ্রিধারী জোর্গেনসেন লিবার্টারিয়ান পার্টির ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া প্রথম নারী। গত শতকের আশির দশক থেকে লিবার্টারিয়ান পার্টির সঙ্গে যুক্ত জোর্গেনসেন ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে দলের হয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে লড়েছিলেন।

১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত লিবার্টারিয়ান পার্টির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, দলটি মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তে সব ধরনের সরকারি হস্তক্ষেপের বিরোধী। দলটি নাগরিকের উপর নির্ধারিত বিভিন্ন ধরনের কর হ্রাস ও বিলুপ্ত করতেও আগ্রহী। এই একই কারণে জোর্গেনসেন এই কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার নির্দেশনার বিরোধী।