জলাবদ্ধতায় আখের ফলন বিপর্যয়, পাওয়ার ক্রাশারে আখ মাড়াই, রাসায়নিক সার এর অভাব,
কর্মরতদের ৩ মাসের বেতন বাকি
মোজাম্মেল হক/
আখমাড়াই মৌসুম শুরুর আগেই বহুমুখী সংকটে পড়েছে নাটোরের লালপুর উপজেলার নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস। একদিকে অতিবৃষ্টির কারণে আখখেতে সৃষ্ট স্থায়ী জলাবদ্ধতায় আখের ফলন বিপর্যয় আর মিল জোনে অবৈধ পাওয়ার ক্রাশারে আখ মাড়াই এর কারণে চলতি ২০২০-২১ আখ মাড়াই মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। 
নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল সূত্রে জানাগেছে, ২ লাখ ৬৮ হাজার মে.টন আখ মাড়াই করে ২০ হাজার ১০০ মে.টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আগামী ২০ নভেম্বর নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ২০২০-২১ আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করা হবে। এর আগেই ২শ ৮৩টি অবৈধ পাওয়ার ক্রাশারে (যন্ত্র চালিত আখ মাড়াই কল) মিল জোন এলাকায় আখ মাড়াই শুরু হয়েছে।
নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের কৃষি বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, চলতি আখ রোপন মৌসুমে ২৮ হাজার একর জমিতে আখচাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে অথচ সুগার মিলের কাছে বর্তমানে ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি সার ও কিটনাশক কোন কিছুই নেই যা আখচাষীদেরকে দেওয়া যাবে। ফলে আখচাষীরা সার কীটনাশকের অভাবে আখচাষ করতে পারছেন না। এতে তারা আখচাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
বাংলাদেশ আখচাষি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও উত্তরবঙ্গ চিনিকল আখচাষি সমিতির সভাপতি আনছার আলী দুলাল জানান, সুগার মিলে আখ মাড়াই শুরুর মাত্র কয়েক দিন বাকি অথচ নানা বিড়ম্বনার পর সবেমাত্র আজ (সোমবার) বিগত মৌসুমে আখ সরবরাহের টাকা পেয়েছে কৃষক। আবার নতুন করে আখচাষের জন্য সার কিটনাশক দিতে পারছেনা মিল কর্তৃপক্ষ।
মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ হুমায়ন কবীর জানান, নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের চিনি বিক্রি না হওয়ায় আখচাষিদের পাওনা যেমন সময়মত দেওয়া যায়নি। তেমনি মিলে কর্মরত কর্মকর্তা, শ্রমিক ও কর্মচারিদের বেতন ভাতাও পরিশোধ করা যাচ্ছেনা। তিনি সুগার মিলে অর্থসংকট ও রাসায়নিক সার, কিটনাশক না থাকার বিষয়টিও স্বীকার করেন।